মনুসংহিতা অনুসারে মনুর মতে দূর্গ কয় প্রকার ও কি কি

Sanskrit Hons and Pass – এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মনুসংহিতা । মনুসংহিতা হতে বড় প্রশ্ন আলোচনা করা হল । প্রশ্নটি হল -মনুসংহিতা অনুসারে মনুর মতে দূর্গ কয় প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক প্রকার দূর্গের বর্ননা দাও ?

মনুসংহিতা অনুসারে মনুর মতে দূর্গ কয় প্রকার ও কি কি ? প্রত্যেক প্রকার দূর্গের বর্ননা দাও ?

উ:- সপ্তাঙ্গ রাষ্ট্রের অন‍্যতম অঙ্গ ক্রমের দিক থেকে চতুর্থ অঙ্গ হল দুর্গ। যাকে আচার্য মনু পুর শব্দের দ্বারা অভিহিত করেছেন-

‘সমাশ্রিত‍্য বসেৎ পুরম্।’

স্মৃতিকারদের মতে সুরক্ষিত দুর্গের মধ‍্যে বাস করলে রাজা নিজের থেকেও বলবত্তর শত্রুকে বিনাশ করতে সমর্থ হন। তাই আত্মরক্ষা, রাষ্ট্ররক্ষা এবং অধিক শত্রু বিনাশের জন‍্য দুর্গ রচনা আবশ‍্যিক। তাই মনুসংহিতার সপ্তম অধ‍্যায়ে রাজধানী রক্ষার অন‍্যতম উপায়রূপে দুর্গের প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে।

দূর্গ কি ?

মনুসংহিতায় রাজধর্ম নামক সপ্তম অধ্যায়ে রাজার রাজধানী স্থাপনের স্থান নির্দেশ করে রাজার প্রধান অবলম্বন দূর্গ সম্পর্কে বহ্ম্যমানুনুরূপ আলোচনা নিবদ্ধ আছে।

দূর্গ শব্দের ব্যুৎপত্তি গত অর্থ কি?

দুর্গ শব্দের ব‍্যুৎপত্তিগত ভাবে অর্থ হল দুর্গম্ অর্থাৎ যেখানে দুঃখে গমন করতে হয়-  ‘দুঃখেন গম‍্যতে যত্র।’
দুব্ -√গম্ +ড্ প্র‍ত‍্যয় করে দুর্গ শব্দটি নিষ্পন্ন হয়েছে। শত্রুর পক্ষে যেখানে যাওয়া সহজে সম্ভব নয়। এমন স্থানে রাজা নিজেকে সুরক্ষিত রেখে বসবাস করেন, তাকে দুর্গ বলে। মনু বলেছেন-

“তথা অবয়ো ন হিংসন্তি নৃপম্ দুর্গসমাশ্রিতম্।”

অর্থাৎ দূর্গ শব্দের ব্যুৎপত্তি গত অর্থ হল, যেখানে দুঃখের সঙ্গে যাওয়া যায় তাই দূর্গ। রাজার বাহাত্তর প্রকার প্রকৃতির মধ্যে দূর্গ অন্যতম। রাজা ও রাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় দূর্গের গুরুত্ব অপরীসিম।

মনু বলেছেন দূর্গাশ্রিত রাজাকে শত্রুরা কোন ভাবে হিংসা করতে পারে না।

অথবা দূর্গাশ্রিত রাজাকে শত্রুরা হঠাৎ বিপদ গ্রস্থ করতে পারে না। শত্রুর পক্ষে সহজে যেখানে যাওয়া সম্ভব নয়, এমন যে স্থানে রাজা নিজেকে সর্বোত ভাবে সুরক্ষিত রেখে বাস করেন তাকে দূর্গ বলা হয়। প্রাচীন শাস্ত্রকারগন রাজার পক্ষে দুর্গ নির্মান একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য বলে বিবেচনা করেছেন।

দুর্গের প্রয়োজনীয়তা

মহামহোপাধ‍্যায় p.v.kone দুর্গের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেছেন যে প্রাচীন ভারতে যুদ্ধের বিশিষ্ট প্রকৃতি ও  উত্তর ভারতের ভৌগলিক অবস্থার জন‍্য রাজধানী এবং দুর্গ নির্মান রাষ্ট্রতত্ত্বে গুরুত্ব অর্জন করেছে-

“it is due to the geographical situation in north India and the nature of fighting in ancient times that made the capital and forts of great importance in the several elements of the state.”

মনুর মতে দূর্গ কয় প্রকার ও কি কি?

প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট‍্য অনুসারে মনু ছয় প্রকার। দুর্গের নাম উল্লেখ করেছেন-

“ধন্বদুর্গং মহীদুর্গমব্ দুর্গং বার্ক্ষমেব বা।
নৃদুর্গং গিরিদুর্গং বা সমাশ্রিত‍্য বসেত্ পুরম্।।”

অর্থাৎ  ধন্বদুর্গ, মহীদুর্গ,অব্ দুর্গ, বৃক্ষদুর্গ, নৃদুর্গ ও গিরিদুর্গ।

মনুর মতে দূর্গ ছয় প্রকার,

যথা ১. ধন্ব দূর্গ ২. মহী দূর্গ ৩. অব্দুর্গ ৪. বার্ক্ষদূর্গ ৫. নৃ দূর্গ ও ৬. গিরি দূর্গ।

দুর্গগুলির গঠনগত বৈশিষ্ট‍্য

এই দুর্গগুলির গঠনগত বৈশিষ্ট‍্য হল-

১. ধন্ব দূর্গ –

ধন্বন শব্দের অর্থ হল মরুদেশ বা নির্জল দেশ-

‘সমানৌ মরুধন্বানৌ।’

এটির চারদিকে পাঁচ যোজন বা কুড়ি ক্রোশ ব‍্যাপি মরুভূমি বেষ্টিত বলে এই দীর্ঘ মরুপথ অতিক্রম করে শত্রু ও সৈন‍্যের পক্ষে রাজধানী আক্রমণ করা দুঃসাধ‍্য। এই দুর্গে পশুরা বাস করে।

চারদিকে পাঁচ যোজন মরু বেষ্ঠীত দূর্গকে ধন্ব দূর্গ বলে। প্রকৃত পক্ষে এটি মরুদূর্গ। চতুর্দিকে মরুবেষ্ঠীত থাকায় ভিভরে জলের ব্যবস্থা থাকা দরকার। এই দীর্ঘ অতিক্রম করে শত্রু সৈনের পক্ষে দূর্গ আক্রমন করা দুঃসাধ্য। এই দূর্গে মৃগাদি প্রাণী আশ্রয় গ্রহন করে।

২. মহীদূর্গ –

যে দুর্গ প্রস্তর বা ইষ্টক নির্মিত প্রাচীব দ্বারা বেষ্টিত এবং গবাশ্বাদি যুক্ত ছয় হাত চওড়া এবং বারো হাত লম্বা প্রাচীর বেষ্টিত সেখানে অল্প সৈন‍্য বহু সংখ‍্যক শত্রু সেনার সাথে যুদ্ধ করতে পারে। এই দুর্গে বিবরবাসী,গর্তবাসী ইঁদুর বাস করে।

এই দূর্গ ইঁট ও প্রস্তর দ্বারা নির্মিত। প্রাচীরের উচ্চতা হবে ১২ হাত এবং চওড়া হবে ছয় হাত, যাতে প্রাচীরের উপর সৈন্যর যাতায়াত করতে পারে এবং উপর থেকে অস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। প্রাচীরের গবাক্ষ দ্বারা ভিতর হতে বাইরে লক্ষ্য রাখা যায়। এই দূর্গে মুষিকাদি প্রাণী আশ্রয় গ্রহন করে।

৩. অব্দুর্গ –

চতুর্দিকে জলপূর্ণ পরিখা বা খাল দ্বারা বেষ্টিত এই দুর্গের দেওয়াল হবে খুব খাড়া এবং উঁচু। যাতে শত্রুরা সহজে রাজ‍্যে প্রবেশ করতে না পারে। এই দুর্গে সাধারনত সর্প, কুমির প্রভৃতি জলজন্তুর বাস থাকে।

চতুর্দিকে জলপূর্ণ পরিমা দ্বারা বেষ্টিত দূর্গকে অব্দুর্গ। ইহাকে জল দূর্গও বলা হয়। এই দূর্গের পাড় খুব খাড়া ও উঁচু হয় যাতে শত্রুরা সহজে পার হতে না পারে। এই দূর্গে জলচর প্রাণীরা আশ্রয় গ্রহন করে।

৪. বার্ক্ষদূর্গ –

চারিদিকে দুক্রোশ ব‍্যাপি বিশাল বিশাল বৃক্ষ, কন্টকযুক্ত গুল্ম ও লতা দ্বারা বেষ্টিত দুর্গকে বলে বার্ক্ষদুর্গ। বানর, হরিণ প্রভৃতি জীব জন্তুরা এখানে বাস করে।

চতুর্দিকে চার ক্রোশ বৃক্ষ কন্টক লতাগুল্মে পরিবেষ্টিত দূর্গকে বার্ক্ষদূর্গ বলে। এখানে বৃক্ষের উপর কিছু সৈন্য লুকিয়ে থাকে। এই দূর্গে বানরাদি প্রাণী আশ্রয় গ্রহন করে।

৫. নৃ দূর্গ –

বহুসংখ‍্যক হস্তী, সৈন‍্য, অশ্ব দ্বারা রক্ষিত দুর্গটিকে নৃদুর্গ বলে।

চতুর্দিকে চতুরঙ্গ সৈন্য দ্বারা পরিবেষ্টিত ও সুরক্ষিত দূর্গকে বলে নৃ দূর্গ। এই দূর্গে মানুষ বাস করে।

৬. গিরিদূর্গ-

যে দুর্গ অতি দুরারোহ পর্বত শৃঙ্গে অবস্থিত তবে প্রস্রবন যুক্ত বহু মৎস‍্যক্ষেত্র, ফলবান বৃক্ষ সমন্বিত সেখানে বাইরে প্রবেশ দ্বার হিসাবে দুর্গ বলে।

অতিদুর্গম ও দুরারোহ পর্বতের উপরে অবস্থিত দুর্গকে গিরিদূর্গ বলে। এখানে যাতায়াতে একটি মাত্র পথ থাকে। নদী ও নির্ঝর সমন্বিত এবং বৃক্ষাদি যুক্ত স্থানে এই দূর্গ নির্মান করা হয়।

উপরোক্ত ছয়টি দুর্গের মধ‍্যে গিরিদুর্গ সর্বাপ্রেক্ষা  শ্রেষ্ঠ দুর্গ। তাই বলা হয়েছে-

“সর্বেন তু প্রযত্নেন গিরিদুর্গং সমাশ্রয়েত্।
এষাং হি বহুগুণ‍্যেন গিরিদুর্গং বিশিষ‍্যতে।।”

কারণ পাহাড়ের নিজস্ব প্রাকৃতিক অসুবিধা এতই বেশি যে অন‍্যান কৃত্রিম দুর্গের চেয়ে এই দুর্গ রাজাকে অনেক বেশি সুবিধা দেয়। এছাড়া শত্রু সৈন‍্যকে পাল্টা আক্রমণ করার সুযোগও এই দুর্গে বেশি পরিমাণে থাকে।  পাহাড়ের উপর থেকে নীচের শত্রুদের গতিবিধি জানাও সহজ হয় এবং শত্রুকে উদ্দেশ‍্য করে পাহাড়ের উপর থেকে পাথর গড়িয়ে ফেলা বা তীর নিক্ষেপের সুযোগও গিরিদুর্গে বেশি। তাছাড়া এই দুর্গ নদী ও ঝর্ণা সমন্বিত হয়।

ছয় প্রকার দূর্গের মধ্যে গিরি দূর্গকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়। কারণ এই দূর্গে শত্রুর আক্রমনে আশঙ্কা একেবারেই নেই। অতীব সংকীর্ণ পথে শত্রুরা উপরে উঠার চেষ্টা করলে উপরে অল্প সংখ্যক সৈন্য দ্বারা তাদের সহজে জখম করতে পারে। বলা হয় এই দূর্গে দেবতাদের আশ্রয় স্থল।

এই ছয়টি দূর্গের যে কোন একটিকে আশ্রয় করে রাজা তাঁর রাজধানী নির্মান করবেন।কেননা এর সুযোগ সুবিধা অনেক বেশী। কারণ দুর্গে আশ্রিতকে শত্রুর দ্বারা ক্ষতি সাধন করা সম্ভব নয়।দূর্গপ্রচীরের মধ্যে অবস্থিত একজন যোদ্ধা একশ জনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে এবং একশ জন দশ হাজারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পার।

তাই রাজা ও সৈন্যদের নিরাপত্তার জন্য দূর্গ নির্মানের বিধান দেওয়া হয়েছে। রাজার তাঁর রাজ্যের জন্য দূর্গের প্রয়োজনীয়তা অবসম্ভাবী।

দূর্গই যেহেতু রাজার বাসস্থান সেই জন্য তাঁর বাসগৃহটি সর্বতোভাবে সুখকর ও মনোহর ফল, পুষ্প সমন্বিত, রমনীর উদ্যান ও সরোবর যুক্ত, প্রচুর আলোচ বাতাস ও জল সম্পন্ন এবং সুরক্ষিত, সুসজ্জিত ও সর্ব ঋতুতে আরামদায়ক কক্ষ বিশিষ্ট হবে। এছাড়া দূর্গে যথেষ্ট অস্ত্রশস্ত্র, ধন, ধান্য, অশ্বাদিবাহন, ব্রাহ্মন, কারিগর, খাদ্য, পানীয় অবশ্যই থাকবে। মনুসংহিতায় রাজাকে গিরিদূর্গে আশ্রয় নেবার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।

শস‍্য উৎপাদনের জন‍্যই মনু রাজাকে গিরিদুর্গ আশ্রয় করে বসবাস করার উপদেশ দিয়েছেন।

মহাভারতে কিন্তু নৃদুর্গকেই শ্রেষ্ঠ দুর্গ বলা হয়েছে। কারণ হস্তী, অশ্ব, রথ পদাতিক সৈন‍্য পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকার ফলে রাষ্ট্র নিরাপত্তা বেশি থাকে-
” যত্ পুরং দুর্গসম্পন্ন ধান‍্যায়ুধসমন্বিতম্।
দৃঢ়প্রাকারপরিখ‍ং হস্ত‍্যশ্বরথসংকুলম্।।”

আচার্য কৌটিল‍্য তাঁর অর্থশাস্ত্রে চার প্রকার। দুর্গের উল্লেখ করেছেন। সেই চারটি দুর্গ হল- যথাক্রমে ধন্বদুর্গ, গিরিদুর্গ, অবদুর্গ,বার্ক্ষদুর্গ। কৌটিল‍্য কথিত এই চারপ্রকার দুর্গের মধ‍্যে যে কোনো দুর্গই মহীদুর্গ হতে পারে। কারণ প্রতিটি দুর্গই প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকে। প্রতিটি দুর্গকে আবার নৃদুর্গও বলা হয়। কারণ প্রতিটি দুর্গ রক্ষার জন‍্য সৈন‍্য সমাবেশ থাকে। অতএব, আচার্য কৌটিল‍্য কৃত দুর্গ বিভাগ মনুর থেকে অধিক যুক্তি সঙ্গত।

মহাভারতে মরুদুর্গ, ভূমিদুর্গ, গিরিদুর্গ, মনুষ‍্যদুর্গ, মৃত্তিকা দুর্গ ও বনদুর্গ এই ছয়প্রকার দুর্গের উল্লেখ আছে-
“ধন্বদুর্গং মহীদুর্গং গিরিদুর্গং তথৈব চ।
মনুষ‍্যদুর্গং মৃদ্ দুর্গং বনদুর্গঞ্চ তানি ষট্।।”

সেখানেই রাজা দুর্গ নির্মান করে যেখানে প্রয়োজনীয় অস্ত্র -শস্ত্র,ধন-ধান‍্য, চতুরঙ্গ বাহিনী,মন্ত্রী, পুরোহিত, স্থাপিত নানাপ্রকার লৌহ নির্মিত যন্ত্রপাতি, চতুষ্পদ, জীবের প্রাণ ধারণের সামগ্রীর সুব‍্যবস্থা থাকবে।

এছাড়াও ব্রাহ্মণ থাকবেন। চিকিৎসক ও ঔষধ প্রভৃতি বসবাসের উপযোগী দ্রব‍্যও থাকবে। দুর্গের মধ‍্যে অত‍্যন্ত সুরক্ষিত পরিখা ও প্রাচীর থাকবে। সমস্ত ঋতুতে পুষ্প ও ফলের প্রাচুর্য যুক্ত আরাম দায়ক,সু সজ্জিত, বহুকক্ষবিশিষ্ট উপযুক্ত ধারাগৃহ উদ‍্যান ও উপবন সমন্বিত স্থানে রাজা নিজের রাজগৃহ নির্মান করবেন।

অবশেষে আচার্য মনু দুর্গ নির্মানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। রাজা ও রাজ‍্য রক্ষায় দুর্গের গুরুত্ব অপরিসীম। সম্মুখ যুদ্ধে একজন ধনুর্ধর একজন যোদ্ধার সাথে করতে পারে। কিন্তু দুর্গে অবস্থিত একজন যোদ্ধা শতসংখ‍্যক শত্রু যোদ্ধার সাথে যুদ্ধ করতে সক্ষম। কারণ তিনি সুরক্ষিত।আত্মরক্ষার জন‍্য তাঁর মনোনিবেশের দরকার নেই।  অনুরূপভাবে এরূপ দুর্গে আশ্রিত শতসংখ‍্যক যোদ্ধা শতসহস্র শত্রু যোদ্ধাকে অনায়াসে পরাজিত করতে পারে-
“একঃ শতং যোধয়তি প্রাকারস্থো ধনুর্ধরঃ।
শতং দশ সহস্রাণি তস্মাদ্ দুর্গং বিধীয়তে।।”

অতএব মনুর মতে রাজার পক্ষে দুর্গ নির্মান একান্ত অপরিহার্য। যাজ্ঞবল্ক‍্য স্মৃতিতে দুর্গ নির্মানের উদ্দেশ‍্য সম্পর্কে  যথার্থভাবেই বলা হয়েছে। রাজার কাছে দুর্গের প্রয়োজন নিজের বাঁচার জন‍্য, রাজ‍্যের প্রাণীদের রক্ষার জন‍্য এবং রাজকোষের জন‍্য-
‘তত্র দুর্গাণি কুর্বীত জন-কোশাত্মগুপ্তয়ে।’

মনুসংহিতা সপ্তম অধ্যায় রাজধর্ম হতে অন্যান্য পোস্ট গুলি

Comments