MODERN SANSKRIT এর পক্ষ থেকে সকলকে অগ্রিম ধন্যবাদ । sanskrit Hons and Pass – এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মনুসংহিতা ( অনুসারে মনুর মতে দূর্গ কয় প্রকার ও কি কি )হতে বিভিন্ন চাকরির ( WBSSC SLST NET SET ) পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক LONG SHORT MCQ NOTES MCQ , Short Descriptive Type Question and Answer / FREE PDF Download তৈরি করা হয়েছে ।
দূর্গ কয় প্রকার ও কি কি ? প্রত্যেক প্রকার দূর্গের বর্ননা দাও ? মনুসংহিতা অনুসারে মনুর মতে দূর্গ কয় প্রকার ও কি কি? (for sanskrit Hons and Pass WBSSC SLST NET SET LONG SHORT MCQ NOTES
মনুসংহিতায় রাজধর্ম নামক সপ্তম অধ্যায়ে রাজার রাজধানী স্থাপনের স্থান নির্দেশ করে রাজার প্রধান অবলম্বন দূর্গ সম্পর্কে বহ্ম্যমানুনুরূপ আলোচনা নিবদ্ধ আছে।
দূর্গ শব্দের ব্যুৎপত্তি গত অর্থ হল, যেখানে দুঃখের সঙ্গে যাওয়া যায় তাই দূর্গ। রাজার বাহাত্তর প্রকার প্রকৃতির মধ্যে দূর্গ অন্যতম। রাজা ও রাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় দূর্গের গুরুত্ব অপরীসিম।
মনু বলেছেন দূর্গাশ্রিত রাজাকে শত্রুরা কোন ভাবে হিংসা করতে পারে না।
অথবা দূর্গাশ্রিত রাজাকে শত্রুরা হঠাৎ বিপদ গ্রস্থ করতে পারে না। শত্রুর পক্ষে সহজে যেখানে যাওয়া সম্ভব নয়, এমন যে স্থানে রাজা নিজেকে সর্বোত ভাবে সুরক্ষিত রেখে বাস করেন তাকে দূর্গ বলা হয়। প্রাচীন শাস্ত্রকারগন রাজার পক্ষে দুর্গ নির্মান একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য বলে বিবেচনা করেছেন।
মনুর মতে দূর্গ ছয় প্রকার, ( মনুসংহিতা অনুসারে )
যথা ১. ধন্ব দূর্গ ২. মহী দূর্গ ৩. অব্দুর্গ ৪. বার্ক্ষদূর্গ ৫. নৃ দূর্গ ও ৬. গিরি দূর্গ।
১. ধন্ব দূর্গ –
চারদিকে পাঁচ যোজন মরু বেষ্ঠীত দূর্গকে ধন্ব দূর্গ বলে। প্রকৃত পক্ষে এটি মরুদূর্গ।
চতুর্দিকে মরুবেষ্ঠীত থাকায় ভিভরে জলের ব্যবস্থা থাকা দরকার। এই দীর্ঘ অতিক্রম করে শত্রু সৈনের পক্ষে দূর্গ আক্রমন করা দুঃসাধ্য। এই দূর্গে মৃগাদি প্রাণী আশ্রয় গ্রহন করে।
২. মহীদূর্গ –
এই দূর্গ ইঁট ও প্রস্তর দ্বারা নির্মিত। প্রাচীরের উচ্চতা হবে ১২ হাত এবং চওড়া হবে ছয় হাত, যাতে প্রাচীরের উপর সৈন্যর যাতায়াত করতে পারে এবং উপর থেকে অস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।
প্রাচীরের গবাক্ষ দ্বারা ভিতর হতে বাইরে লক্ষ্য রাখা যায়। এই দূর্গে মুষিকাদি প্রাণী আশ্রয় গ্রহন করে।
৩. অব্দুর্গ –
চতুর্দিকে জলপূর্ণ পরিমা দ্বারা বেষ্টিত দূর্গকে অব্দুর্গ। ইহাকে জল দূর্গও বলা হয়।
এই দূর্গের পাড় খুব খাড়া ও উঁচু হয় যাতে শত্রুরা সহজে পার হতে না পারে।
এই দূর্গে জলচর প্রাণীরা আশ্রয় গ্রহন করে।
৪. বার্ক্ষদূর্গ –
চতুর্দিকে চার ক্রোশ বৃক্ষÑকন্টকÑলতাগুল্মে পরিবেষ্টিত দূর্গকে বার্ক্ষদূর্গ বলে।
এখানে বৃক্ষের উপর কিছু সৈন্য লুকিয়ে থাকে। এই দূর্গে বানরাদি প্রাণী আশ্রয় গ্রহন করে।
৫. নৃ দূর্গ –
চতুর্দিকে চতুরঙ্গ সৈন্য দ্বারা পরিবেষ্টিত ও সুরক্ষিত দূর্গকে বলে নৃ দূর্গ। এই দূর্গে মানুষ বাস করে।
৬. গিরিদূর্গ-
অতিদুর্গম ও দুরারোহ পর্বতের উপরে অবস্থিত দুর্গকে গিরিদূর্গ বলে। এখানে যাতায়াতে একটি মাত্র পথ থাকে। নদী ও নির্ঝর সমন্বিত এবং বৃক্ষাদি যুক্ত স্থানে এই দূর্গ নির্মান করা হয়।
ছয় প্রকার দূর্গের মধ্যে গিরি দূর্গকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়। কারণ এই দূর্গে শত্রুর আক্রমনে আশঙ্কা একেবারেই নেই। অতীব সংকীর্ণ পথে শত্রুরা উপরে উঠার চেষ্টা করলে উপরে অল্প সংখ্যক সৈন্য দ্বারা তাদের সহজে জখম করতে পারে। বলা হয় এই দূর্গে দেবতাদের আশ্রয় স্থল।
এই ছয়টি দূর্গের যে কোন একটিকে আশ্রয় করে রাজা তাঁর রাজধানী নির্মান করবেন।
কেননা এর সুযোগ সুবিধা অনেক বেশী। কারণ দুর্গে আশ্রিতকে শত্রুর দ্বারা ক্ষতি সাধন করা সম্ভব নয়।
দূর্গপ্রচীরের মধ্যে অবস্থিত একজন যোদ্ধা একশ জনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারে এবং একশ জন দশ হাজারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পার।
তাই রাজা ও সৈন্যদের নিরাপত্তার জন্য দূর্গ নির্মানের বিধান দেওয়া হয়েছে। রাজার তাঁর রাজ্যের জন্য দূর্গের প্রয়োজনীয়তা অবসম্ভাবী।
দূর্গই যেহেতু রাজার বাসস্থান সেই জন্য তাঁর বাসগৃহটি সর্বতোভাবে সুখকর ও মনোহর ফল, পুষ্প সমন্বিত, রমনীর উদ্যান ও সরোবর যুক্ত, প্রচুর আলোচ বাতাস ও জল সম্পন্ন এবং সুরক্ষিত, সুসজ্জিত ও সর্ব ঋতুতে আরামদায়ক কক্ষ বিশিষ্ট হবে। এছাড়া দূর্গে যথেষ্ট অস্ত্রশস্ত্র, ধন, ধান্য, অশ্বাদিবাহন, ব্রাহ্মন, কারিগর, খাদ্য, পানীয় অবশ্যই থাকবে। মনুসংহিতায় রাজাকে গিরিদূর্গে আশ্রয় নেবার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।