স রাজা পুরুষো দন্ড স নেতা শাসিতা চ সঃ- এই অংশটি কোথা থেকে উদ্ধৃত হয়েছে? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষন কর। দন্ডের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য | The nature and characteristics of the Punishment according to the Monusonghita. মনুসংহিতা রাজধর্মঃ ।
উঃ- মনুসংহিতা -য় রাজধর্মঃ শীর্ষক সপ্তম অধ্যায়ে দন্ডের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনায় উক্ত শ্লোকটির অবতারনা করা হয়েছে।
দন্ডসৃষ্টির কারনঃ- প্রবলের ভয়ে ধাবমান বিশৃঙ্খল চরাচরকে সুষ্টুভাবে রক্ষা ও পালন করার জন্য ঈশ্বর যখন রাজাকে সৃষ্টি করেন, তার পূর্বে রাজার কার্য সাধনের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মতেজোময় সর্বরক্ষক,ধর্মস্বরূপ দন্ডকে সৃষ্টি করেন।
ii) দন্ডের প্রকৃতি ও উপযোগিতাঃ-
দন্ডই স্থাপর জঙ্গম,প্রানীগন সুখভোগে এবং এবং সধর্মে নিয়োজিত থাকার পক্ষে যথেষ্ট উপযুক্ত হওয়ায় দেশ,কাল,পাত্র বিবেচনা করে রাজা অন্যায়কারীর প্রতি যথাযথ দন্ড প্রয়োগ করেন। এই দন্ডের মধ্যে রাজার প্রকৃত যোগ্যতা নিহিত থাকে। অর্থাৎ দন্ডই নেতা,দন্ডই রাজা, দন্ডই শাসক,দন্ডই চতুরশ্রম ধর্মের রক্ষক। কারন,দন্ড প্রজাকূলকে রক্ষনাবেক্ষন করে থাকে বলে দন্ডকে ধর্মের প্রতিভূস্বরূপ বলা হয়েছে।
দন্ডের ভয়ে প্রজাকূল ন্যায়পথে চালিত হয় এবং নিজ নিজ বিষয়ভোগে সমর্থ্য হয়। ন্যায় অনুসারে দন্ড প্রযুক্ত হলে রাজ্যে অনেক সুফল দেখ যায়। তেমনি অন্যায়ভাবে দন্ড প্রযুক্ত হলে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।
উপসংহারঃ-
মনুসংহিতা গ্রন্থে আচার্য মনু দন্ডকে ধর্মের প্রতিনিধি হিসাবে অভিহিত করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন- দন্ড দন্ডই পুরুষ। অর্থাৎ অন্যান্য পুরুষেরা দন্ডের কাছে নিষ্প্রভ। দন্ড দ্বারা সমস্ত কার্য পরিচালিত হয়। রাজা দন্ডের প্রতিনিধি মাত্র। তাই বলা যায় যে, দন্ডই শাসনকর্তা।