প্রশ্ন : ‘বাসন্তিকস্বপ্নম্’ নাট্যাংশ অবলম্বনে রাজা ইন্দ্রবর্মার মনোভাবনার বিভিন্ন দিকগুলি উল্লেখ কর?
অথবা,
‘‘নাড়িকাহপি যুগায়তে’’। বাক্যাংশটি পাঠ্যাংশ অবলম্বনে বিশ্লেষণ কর?
উত্তর : ভুমিকা : শ্রী কৃষণমাচার্য্য রচিত ‘বাসন্তিকস্পপ্নম্’ নাট্যাংশের প্রথমেই রাজা ইন্দ্রবর্মা এবং কনকলেখার বিবাহের পুর্বে চারদিন অপেক্ষাকাল বিষয়ে রাজার মধ্যে বিরহ মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়।
ইন্দ্রবর্মার মনোভাব :
১। বিবাহের চারদিন অপেক্ষা করা রাজার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এই জন্য তিনি চাঁদকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর বলেছেন। কেননা চাঁদটি ক্ষয়তে গিয়েও ক্ষয়ছে না।
২। রাজা অত্যন্ত অধৈর্য্য ও মনের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারণ, তিনি মদনদেবের শরে আক্রান্ত হয়ে বড়ই দু:খিত।
৩। রাজা তাদের বিবাহকে উদ্দেশ্য করে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। তাই চারটি দিন অপেক্ষা করাও তার কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
৪। প্রত্যেক প্রেমিক প্রেমিকার কাছে সময়ের অপেক্ষা করা অত্যন্ত কষ্টের।
তাই রাজা বলেছে ‘নাড়িকাহপি যুগায়তে।’ অর্থাৎ একক্ষণ বা এক নাড়িকা সময় তার কাছে একটি যুগ বলে মনে হচ্ছে।
মুল্যায়ণ : ইন্দ্রবর্মার চারিত্রে সহজেই ধরা পড়ে যে তিনি এতটাই অধৈয্য ও অসহনীয় হয়ে পড়েছে
ফলে সহজেই বোঝা যায় প্রিয়া বিরহ তিনি সহ্য করতে পারেন না। যার ফলে চাঁদকেও নিষ্ঠুর বলেছেন। এটা রাজার পক্ষে কখনই শোভানীয় নয়।
Discussion about this post