SANSKRIT NOTES টিকা – বরাহমিহির ( Barahamihir )
দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত সিলেবাসের অন্তর্গত বরাহমিহির ( Barahamihir ) টিকা ( sanskrit notes ) এই ভাবে লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে ।
ভুমিকা:-
ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে আবিস্মরনীয় নাম হল বরাহমিহির ( Barahamihir )। ভারতীয় সংস্কৃতির সুবর্ণযুগে তিনি আবিভূর্ত হয়েছিলেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের সবচেয়ে খ্যাত ও জনপ্রিয় হলেন বরাহমিহির( Barahamihir )।
ব্যক্তিগত জীবন:-
বরাহমিহির গুপ্তযুগের সমসাময়িক ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের গগনে আবিভূত হয়েছিলেন। বরাহমিহিরের পিতার নাম আদিত্য দাস। বর্তমান জলন্ধর জেলার কাল্পীনামক স্থানে জন্মগ্রহন করেন। তিনি বিক্রমাদিত্যের নবরত্নের মধ্যে অন্যতম রত্ন ছিলেন।
কিংবদন্তি:-
বরাহমিহিরের পিতা আদিত্য দাস সূর্যের উপাসক ছিলেন। তিনি সূর্যের নাম অনুসারে পুত্রের নাম রাখেন মিহির। এরপর সম্রাট বিক্রমাদিত্যের এক পুত্র জন্মালে মিহির গগণা করে বলেন এই পুত্র বরাহ(শূকর) দ্বারা আক্রন্ত হয়ে মারা যাবেন। যথা সময়ের দ্বারা ভবিষ্যৎবাণী ফলে যাওয়ায় রাজা তাকে বরাহ উপাধিতে ভূষিত করেন।
গ্রন্থাবলী:-
বরাহমিহির জোর্তিশাস্ত্রের তিন শাখাতেই পন্ডিত ছিলেন তবে প্রধান গ্রন্থ তিনটি যথা-
১)পঞ্চসিদ্ধান্তিকা ২)বৃহদসংহিতা ৩) বৃহজ্জাতক
১) পঞ্চসিদ্ধান্তিকা :- কোনাে একটি বিশেষ গ্রন্থ নয়, গণিত জোতিষের বিষয়ে তার রচিত পাঁচটি গ্রন্থকে বৃহৎসংহিতা । একসঙ্গে বলা হয় পঞ্চসিদ্ধান্তিকা।
২) বৃহদসংহিতা :-প্রসিদ্ধ এই জোতিষ গ্রন্থটি পদ্য আকারে লিখিত ।
৩) বৃহজ্জাতক– এখানে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রয়ােজনীয়তার কথা আলােচিত হয়েছে। এই গ্রন্থে ব্রজলেপ অর্থাৎ বর্তমানে যা সিমেন্ট, তা উল্লেখ রয়েছে।
বৃহজ্জাতক ছাড়াও হােরাজ্জাতক প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
অবদান:-
বরাহমিহির আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের গনক। তিনি দিন-রাত্রি-মাস-বছর প্রভৃতি বিষয়ে যে সব তথ্য দিয়েছেন তা এখনাে অনুসৃত। গণিত শাস্ত্রে ত্রিকোণমিতির অনেক সূত্র তিনি আবিষ্কার করেন|
( SANSKRIT NOTES বরাহমিহির )
Discussion about this post