কর্মযােগ অনুসারে কর্মের মাহাত্ম্য বা কর্মের উপদেশ

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কর্মযােগ অনুসারে কর্মের যে উপদেশ দিয়েছেন তা লিপিবদ্ধ কর ? কর্মযােগে যে কর্মের মাহাত্ম্য বর্ণিত তা লেখ ? দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত কর্মযােগ প্রশ্ন উত্তর ।

কর্মের মাহাত্ম্য / কর্মের উপদেশ-কর্মযোগ

ভুমিকা :-

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিসৃত বাণী গীতা । এই গীতার তৃতীয় অধ্যায়ের নাম কর্মযোগ । কর্মযোগ হতে পাঠাংশে সংকলিত কয়েকটি শ্লোকে কর্মযােগের তত্ত্ব অর্থাৎ কর্মের উপদেশ দান করেছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ।

কর্মযোগ

মানবজীবনে কর্মের স্থান সবার উপরে । কর্মই ধর্ম, কর্মই মুক্তি। মানুষ ক্ষনকালও কর্ম না করে থাকতে পারে না প্রকৃতিজাত গুনের কারণে সকলে কর্মে প্রবৃত্ত হয়। ইহাই হল কর্মযােগের মুল বক্তব্য।

তাই শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন- “নিয়তং কুরু কর্ম তম

কর্মের উপদেশ / কর্মের মাহাত্ম্য

যেহেতু মানুষ ক্ষণকাল কর্ম না করে থাকতে পারে না তাই শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ কর্ম করে যাওয়া কেননা – কর্ম না করলে মানুষ কর্মবন্ধন হতে মুক্ত হতে পারে না আবার কর্ম ত্যাগের দ্বারাও সিদ্ধিলাভ সম্ভব নয়।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, কর্মেন্দ্রীয়গুলি সংযত করে অনাসক্ত হয়ে কর্ম করলে তিনি শ্রেষ্ঠ হন,তা না হলে তিনি মিথ্যাচারী হয়ে থাকে।শ্রীকৃষ্ণের যুক্তিতে কর্ম না করার চাইতে কর্ম করা ভাল, কারণ তার দ্বারা শরীরযাত্রা নির্বাহ হবে।

এরপর ভগবান শ্রীক তুলে ধরেছেন নিষ্কাম কর্মের দ্বারা জনক প্রভৃতি রাজারা কিভাবে সিদ্ধিলাভ করেছিল। তাই লােকশিক্ষার জন্য কর্ম করা উচিত।যেহেতু শ্রেষ্ঠব্যক্তির আচরন ও আর্দশ সাধারন লােক অনুসরণ করে, তাই প্রত্যেকের উচিত স্বধ্মজ্ঞানে কর্ম করে যাওয়া ।

উপসংহার:

শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ অনুসারে অনাসক্ত হয়ে কর্ম করলে মানুষ কর্ম বন্ধন হতে মুক্ত হন। মানবলীবনের উন্নতির পথে কর্মের স্থান কতখানি গীতাতে লিপিবদ্ধ

আরো অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর গুলি —

উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত কর্মযোগ প্রশ্নগুলি

Comments