সূচনা –
গল্প সাহিত্যের পথিকৃৎ হলেন বিষ্ণুশর্মা।
তারই পরে গল্প সাহিত্যে রচনা কাদের মধ্যে নারায়ণশর্মা অগ্রগণ্য।
নারায়ণশর্মা হিতোপদেশ রচনা করে গল্প পিপাসু মানুষের মনের মন্দিরে চিরন্তন স্থান দখল করে নিয়েছেন।
কবি পরিচিতি –
হিতোপদেশ গ্রন্থের শেষে নারায়ণ শর্মা তার সামান্য পরিচয় দিয়েছেন।
নারায়ণ শর্মা ধবল চন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। কবির আবির্ভাব কাল সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়নি, একটি পুঁথিতে উল্লেখ করার তারিখ ও ভাষা থেকে মনে হয় তিনি একাদশ শতাব্দীর মধ্যে বিরাজমান ছিলেন।
হিতোপদেশ রচনার কারণ –
গ্রন্থটির মুখবন্ধ হতে জানা যায় পাটলিপুত্রের রাজার পুত্রদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে হিতোপদেশ রচিত হয়েছিল।
হিতোপদেশ এর উৎস –
হিতোপদেশ সাধারণত পঞ্চতন্ত্রের অনুকরণে রচিত। এছাড়া বেতাল পঞ্চবিংশতি , রামায়ণ , মহাভারত হতেও অনেক কিছু গ্রহণ করেছেন।
হিতোপদেশ এর মূল্যায়ন –
হিতোপদেশ চারটি অধ্যায় বিভক্ত । মিত্রলাভ, সুহৃদ্ ভেদ ,বিগ্রহ ,সন্ধি এই চারটি অধ্যায় 43 টি গল্প আছে । এই গল্পগুলিতে এমন এক জগত সৃষ্টি হয়েছে যে কল্পলোকে শিশুরা পায় পরম পরিতৃপ্তি। গল্পের মধ্যে স্থান ও ব্যক্তিদের নামকরণের চমৎকারিত্ব দেখা যায়।
উপসংহার –
পরিশেষে বলা যায় প্রাচীন ভারতের এই গল্প সাহিত্যের বৈচিত্র ও বৈভব শ্রেষ্ঠ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে । এই গ্রন্থের নীতি উপদেশ গুলি দেশের সীমার মধ্যে আবদ্ধ না থেকে সকল মানবের চলার পথের পাথেয় হয়ে উঠেছে। নারায়ণ শর্মা শুধুমাত্র বালকদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে লেখনী ধারণ করেন নি, সমাজের পরিবর্তন হলেও আদিম প্রবৃত্ত যে বর্তমান তা আমরা দৈনন্দিন জীবনে দেখতে পাই। প্রতিটি নীতিবাক্য আজও সমাজে সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক।
Discussion about this post