হরিবংশম্ সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস । হরিবংশম্ ( Sanskrit Long Notes) উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত
সূচনা:- হরিবংশ মহাভারতের অষ্টাদশ পর্বের অতিরিক্ত অংশ বা খিল পর্বের অন্তর্গত একে আবার হরিবংশ পুরান বলা হয। (ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্ত)
বিষয়বস্তু:- এই অংশের প্রবক্তা ব্যাসদেব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্ত এর মূল বিষয়বস্তু তাছাড়া নানা প্রকার স্তব-স্তুতির দ্বারা বিষ্ণুর মহিমা কীর্তন দেখা যায় এর মোট শ্লোক সংখ্যা ১৫৩৭৪টি।
এখানে শ্রীকৃষ্ণকে বিষ্ণুর অবতার রূপে বর্ণনা করে তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেবতার স্তব, স্তুতি এই অংশে দেখা যায়। এর শ্লোক সংখ্যা ১৬৩৭৪ টি। হরিবংশের তিনটি পর্ব হল- (i) হরিবংশ পর্ব, (ii) বিষ্ণুপর্ব এবং (iii) ভবিষ্যপর্ব।
বিভাগঃ-
হরিবংশ তিনটি অংশে বিভক্ত।
i) হরিবংশপর্বঃ-
এই পর্বে দেখা যায় রাজা জন্মেঞ্জয় বৈশম্পায়ন এর কাছ থেকে বৃশ্চিক বংশের ইতিহাস শুনতে চাইলে তিনি ক্রমে হরি বংশের বর্ণনা করেন এখানে শ্রীকৃষ্ণকে বিষ্ণুর অবতার রূপে বর্ণনা করা হয়েছে।
ii) বিষ্ণুপর্বঃ-
বিষ্ণু পর্বে বর্ণিত হয়েছে বিষ্ণুরূপি শ্রীকৃষ্ণের জীবন ইতিহাস।
iii) ভবিষ্যপর্বঃ-
এই পর্বে ভবিষ্যৎ কালের বর্ণনা করা হয়েছে বিষ্ণুর বিভিন্ন অবতার যেমন বরাহ নৃসিংহ প্রভৃতি বর্ণনা করে বিভিন্ন উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে এই পর্বটি পৌরাণিক কাহিনীর সংকলন।
উপসংহার:- ভাষা ও বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে এটি সম্পূর্ণ পুরাণের মতো বা মহাভারতের প্রক্ষিপ্ত অংশ যা একজনের দ্বারা বা এক সময়ের রচনা নয।
“হরিবংশম্” কোনো নির্দিষ্ট সময়ে একজন কবির দ্বারা রচিত হয়নি। এটি মহাভারতের প্রক্ষীপ্ত অংশ।
যা পরবর্তীকালে “মহাভারত”-এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়।
হরিবংশম্ সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস । হরিবংশম্ ( Sanskrit Long Notes) উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত
Discussion about this post